যিনি আত্মসমালোচনা করতে পারেন তিনিই তো প্রকৃত জ্ঞানী। বিখ্যাত দার্শনিক ‘এরিস্টটল’বলেছেন, “Knowing yourself is the beginning of all wisdom” আর সক্রেটিস বলেছেন, “To know thyself is the beginning of wisdom”। এ দু’টো কথারই বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় “নিজেকে জানা হচ্ছে সমস্ত জ্ঞানের শুরু”। পবিত্র কুরআন এর প্রথম আয়াত হচ্ছে ‘ইকরা’ অর্থাৎ ‘পড়’। বস্তুত: এই ‘পড়’ এর অন্তরালে রয়েছে জ্ঞান অর্জন করা। এছাড়াও পবিত্র কুরআন এর বিভিন্ন আয়াতে জ্ঞানের গুরুত্বের বিয়ষটি বহুবার আলোকপাত করা হয়েছে। সুরা যুমার এর ৯ নম্বর আয়াতে উল্লেখ আছে, “বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে?” সুরা ফাতির এর ২৮ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, “আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে থাকে।”

আর হাদীসের আলোকে জানা যায়, সকল মুসলমান এর জন্য জ্ঞান করা অত্যাবশ্যক তথা ফরজ। এটা এজন্য যে, প্রকৃত জ্ঞান মানুষকে ত্যাগের শিক্ষা দেয়। যুগে যুগে পৃথিবীতে যত মহামানব এসেছেন তা সে নবী-রাসুল, দার্শনিক কিংবা বিজ্ঞানী যেই হোন কেন, তারা নিজেরা ভোগবিলাসে মত্ত্ব থাকেননি বরং তারা সর্বদাই ত্যাগের শিক্ষা দিয়েছেন। জ্ঞান ব্যতীত একটি সুন্দর, সুস্থ্য, মানবিক সমাজ, রাষ্ট্র তথা জাতি গঠন করা কখনোই সম্ভব নয়। একজন মানুষ লেখাপড়া করে যত বড় ডিগ্রীই অর্জন করুন না কেন, ত্যাগের শিক্ষা ব্যতিত তিনি কখনোই প্রকৃত জ্ঞানী হতে পারেন না।

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *