এটি একটি প্রবাদ বাক্য। কিন্তু কথাটির গভীরতা এতই ব্যাপক যে, জ্ঞানীরা ছাড়া এর গভীরতা উপলব্ধি করা অন্যকারো পক্ষে অসম্ভব। সাধারণত সন্তান বেয়ারা হলে, কথা না শুনতে চাইলে, বিশেষ করে লেখাপড়ায় অবহেলা করলে পিতা-মাতা বা অভিভাবকরা এ ধরণের প্রবাদ বাক্য উপস্থাপন করার মাধ্যমে সন্তানদেরকে উপদেশ দেয়ার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু কেবলমাত্র জ্ঞানী ছেলে-মেয়েরাই পিতা-মাতা বা অভিভাবকের উপদেশগুলো মেনে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবনের পরিকল্পনা করেন। আর যারা তা করেন না, তারা যদি নিজের চেষ্টায় সফল হতে পারেন তো বেঁচে গেলেন, নয়তো সত্যি সত্যিই তাদেরকে পরবর্তীতে বুক চাপড়াতে হয়।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তা আলা মানুষকে বার বার কেয়ামতের ভয়াবহতার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। কেয়ামতের বর্ণনা দিতে গিয়ে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, “যখন কিয়ামত তাদের কাছে অকস্মাৎ এসে যাবে, তারা বলবেঃ হায় আফসোস, এর ব্যাপারে আমরা কতই না ক্রটি করেছি। তারা স্বীয় বোঝা স্বীয় পৃষ্ঠে বহন করবে(আনআম/৩১)। আমোঘ প্রতিশ্রুত সময় নিকটবর্তী হলে কাফেরদের চক্ষু উচ্চে স্থির হয়ে যাবে; হায় আমাদের দূর্ভাগ্য, আমরা এ বিষয়ে বেখবর ছিলাম; বরং আমরা গোনাহগরই ছিলাম(আম্বিয়া/৯৭)। জালেম সেদিন আপন হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম(ফুরকান/২৭)”।
সুতরাং কেবলমাত্র ইহকালে শান্তির জন্য সময়ের কাজ সময়ে করাই যথেষ্ট নয় বরং পরকালে বিশ্বাস স্থাপন করা এবং তদানুযায়ী জীবন পরিচালনা না করলে কেয়ামত দিবসেও নিজের ভুলের জন্য বুক চাপড়াতে হবে। তাইতো পবিত্র কুরআনে জ্ঞানীদেরকে অধিকতর সম্মান প্রদান করা হয়েছে। কেননা, কেবলামাত্র জ্ঞানীরাই আল্লাহ ও পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেন এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করে থাকেন।